এই মাত্র
লোডিং...
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষ রিলিজ স্লিপ আবেদন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষ রিলিজ স্লিপ আবেদন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রমের ১ম ও ২য় মেধাতালিকার ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। এখন বাকি আছে আসন খালি থাকা স্বাপেক্ষে প্রথম রিলিজ স্লিপ আবেদন প্রক্রিয়া। যারা প্রথম ও দ্বিতীয় মেধা তালিকায় স্থান না পায় তাদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রিলিজ স্লিপের আবেদন করার সুযোগ প্রদান করে। রিলিজ স্লিপের কার্যক্রম সাধারণ দুইটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে । প্রথম ধাপে প্রথম রিলিজ স্লিপ এর আবেদন ও ফলাফল প্রকাশ করা হয় । এই প্রথম রিলিজ স্লিপেও যারা ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পায়, আসন খালি থাকা স্বাপেক্ষে দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপ বা সর্বশেষ ধাপের আবেদন ও ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রিলিজ স্লিপ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রিলিজ স্লিপ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য

১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু হবে কবে থেকে ?

উত্তর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা ওয়েবসাইটে রিলিজ স্লিপ সংম্পর্কিত কোন বিজ্ঞপ্তি এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। তাই এই সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদান করা যাচ্ছে না। তবে আশা করা যাচ্ছে  অক্টোবর মাসের শেষের ভাগে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর রিলিজ স্লিপ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।রিলিজ স্লিপের আবেদনের তারিখ ঘোষণা করা মাত্রই আমাদের ফেসবুক পেইজে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সংশোধিত : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তির প্রথম রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু হবে ০৫/১১/২০১৮ ইং তারিখে বা ৫ নভেম্বর ২০১৮ ইং ।

২. রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে কি পূর্বের কলেজে আবেদন করা যাবে ?

উত্তর : অবশ্যই আবেদন করতে পারবেন। আপনি পূর্বের কলেজসহ নিজের পছন্দ অনুযায়ী  মোট পাঁচটি কলেজে ও বিষয় নির্বাচন করে দিতে পারবেন।

৩. রিলিজ স্লিপের আবেদন করব কোথায় থেকে ? এর জন্য কলেজে যেতে হবে কি'না?

উত্তর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ওয়েব সাইটের মাধ্যমে রিলিজ স্লিপের আবেদন করতে হবে । অথবা নিকটস্থ কোন অনলাইনে কাজ করে এরকম একটি দোকানে গিয়ে রিলিজ স্লিপের আবেদন করার কথা জানাতে হবে। রিলিজ স্লিপের আবেদনের জন্য কলেজে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

৪. রিলিজ স্লিপের আবেদন ফরম প্রিন্ট করে কোথায় বা কোন কলেজে জমা দিতে হবে ?

উত্তর : রিলিজ স্লিপের আবেদন ফরম প্রিন্ট করে নিজের কাছেই রেখে দিতে হবে, ফলাফল প্রকাশ হলে নির্ধারিত কলেজে ভর্তির সময় উক্ত প্রিন্ট ফরমটি জমা দিতে হবে।

৫. রিলিজ স্লিপে কোন পাঁচটি কলেজ নির্বাচন করা যাবে ?

উত্তর : আপনার সুবিধা কথা মাথায় রেখে পছন্দ অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত বাংলাদেশের যে কোন বিভাগ ও জেলার সর্বমোট পাঁচটি কলেজ ক্রমান্বয়ে আপনি নির্বাচন করে দিতে পারেন। (আসন খালি থাকা স্বাপেক্ষে)

৬. রিলিজ স্লিপে আবেদনের কত দিন পর ফলাফল প্রকাশিত হয় ?

উত্তর : রিলিজ স্লিপে আবেদনের সাধারণত ১ সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশিত হয়ে থাকে।

৭. রিলিজ স্লিপে আবেদন করলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ সম্ভাবনার কোন নিশ্চয়তা রয়েছে কি ?

উত্তর : ভর্তির নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব না তবে আবেদন করার  সময় যদি আপনি সুকৌশলী হন তাহলে যে কোন একটি কলেজেে ভর্তি হওয়ার একটি সম্ভবনা থাকে। আপনাকে আবেদনের ক্ষেত্রে নিজের সর্বমোট জিপিএ ও এ বছরের মেধাক্রমে চা্ন্স প্রাপ্তির হার বিবেচনা করে যদি মনে হয় আপনার জিপিএ টা সন্তুষজনক রয়েছে তাহলে টপ লেভের পাঁচটি কলেজে নির্বাচন করতে পারেন।আর যদি আপনার জিপিএ সন্তুষজনক না হয় তাহলে জেলা ও উপজেলা শহরের কলেজ ও বেসরকারী কলেজে এই তিনটির সম্মিলিতভাবে পাঁচটি কলেজ নির্বাচন করে দিলে কম জিপিএ নিয়েও আপনি খুব সহজে ভর্তি হওয়ার একটি সুযোগ পেতে পারেন।

৮. রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন হবে ?

উত্তর : পূর্বে আবেদন করার সময় আপনাকে একটি কলেজ কর্তৃক “স্টুডেন্ট কপি” ফেরত দেওয়া ছিল। সেই প্রিন্ট কপিটিতে থাকা উক্ত রোল নম্বর ও পিন নম্বর প্রয়োজন হবে।

৯. কোন কলেজে, কোন বিষয়ে, সর্বমোট কতটি আসন খালি রয়েছে এই তথ্য কিভাবে পাব ?

উত্তর : অনলাইনে রিরিজ স্লিপের আবেদনের সময় আপনার নির্ধারিত সকল তথ্য এবং উপরোক্ত যা আপনি চাচ্ছেন সব কিছুই দেখতে পারবেন।

১০. রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে ভর্তি হলে যে বিষয় নির্ধারিত হবে সেটা কি পরিবর্তন বা মাইগ্রেশন করা যাবে ?

উত্তর : দুঃখিত না। রিলিজ স্লিপে আপনি যে বিষয় পাবেন সেই বিষয়ে ভর্তি হতে হবে । রিলিজ স্লিপে মাধ্যমে ভর্তি হলে মাইগ্রেশন বা বিষয় পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই।

 অনলাইনের মাধ্যমে  রিলিজ স্লিপে আবেদন প্রক্রিয়া

রিলিজ স্লিপে আবেদনের জন্য প্রার্থীকে জাতীয় বিশ্নিবিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট “www.admissions.nu.edu.bd” “অনার্স ট্যাব” এ গিয়ে অনার্স অ্যাপলিকেশন লগইন অপশনে ক্লিক করে আবেদন ফরমের রোল নম্বর ও পিন দ্বারা প্রবেশ করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রার্থীর নাম ও অন্যান্য যাবতীয় তথ্যসহ রিলিজ স্লিপের আবেদন ফরম প্রকাশিত হবে।

এপর সেখান থেকে “কলেজ সিলেকশন অপশন” এ গিয়ে আবেদনকারী তার নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী কলেজ সিলেক্ট করার সাথে সাথে ঐ কলেজের বিষয়ভিত্তিক শূন্য আসনের তালিকা ও নির্ধারিত বিষয়ের তালিকা দেখতে পারবে। আসন ও বিষয় খালি থাকা স্বাপেক্ষে মোট পাঁচটি কলেজের পছন্দক্রম নির্ধারণ করে দিতে হবে।

কলেজ পছন্দক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করে “সাবমিট অ্যাপ্লিকেশন” বাটনে ক্লিক করলেই পরবর্তী ধাপে আবেদনকারীর নাম, রোল নম্বর, পছন্দক্রম কলেজের নাম ও বিষয় তালিকা আকারে প্রদর্শিত হবে। উক্ত ফরমটি একবার ভালোভাবে দেখে নিয়ে সাবমিট করলেই একটি ডাউনলোড বা পিডিএফ ফরম্যাট প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করা হবে। সেই প্রিন্ট কপিটি অবশ্যই এ৪ সাইজের অফসেট সাদা কাগজে কালার প্রিন্ট দিতে হবে।

উক্ত আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপিটি নিজের কাছে রেখে দিতে হবে। এর জন্য আপনাকে কলেজ কতৃপক্ষ কোন ফি বা ফরম জমাদানের কোন প্রয়োজন হবে না। কিন্তু উক্ত কপিটি রিলিজ স্লিপে ফলাফল প্রকাশের পর ভর্তির সুযোগ পেলে প্রয়োজন ভর্তির কার্যক্রমে প্রয়োজন হবে।

রিলিজ স্লিপের আবেদন ফরম চূড়ান্তকরণের পর যদি কোন আবেদনকারী আবেদন বাতিল/সংশোধন/পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হয় তাহলে তার করণীয়: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়র নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (ওপরে লিংক দেওয়া রয়েছে) ভিজিট করে, “অনার্স অ্যাপ্লিকেশন লগইন” অপশনে গিয়ে প্রাথমিক আবেদন ফরমের রোল নম্বর ও পিন কোড দ্বারা প্রবেশ করতে হবে। সেখানে গিয়ে আবেদনকারীকে “ক্যান্সেল রিলিজ স্লিপ” অপশনে গিয়ে “ক্লিক টু জেনারেট দ্যা সিকিউরিটি কী”তে ক্লিক করতে হবে। এ সময়ে আবেদনকারীর নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে একটি এস.এম.এস মাধ্যমে ওটিপি(ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) আবেদন বাতিল/সংশোধন/পরিবর্তন করতে হবে।আবেদনকারী রিলিজ স্লিপে আবেদন করার পর মাত্র একবার এই সুবিধা নিতে পারবে।

রিলিজ স্লিপে ভর্তির সুযোগ পেলে করণীয়

রিলিজ স্লিপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলেই ফলাফল প্রকাশিত হবে। রিলিজ স্লিপে কোন প্রার্থী যদি ভর্তির সুযোগ পায় তাহলে প্রথমত তাকে অনলাইনে গিয়ে একটি আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি ডাউলোড দিতে হবে। এবং সেই সাথে নির্ধারিত কলেজে গিয়ে ভর্তির জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কলেজে ভর্তির সময় যে কাগজপত্রাদি প্রয়োজন হবে তা নিচে দেওযা হল:

  • অনলাইনে আবেদনকৃত মূল আবেদন ফর্মের – ২সেট (অবশ্যই এফোর সাদা কাগজে কালার প্রিন্ট করতে হবে। )
  • প্রাথমিক আবেদনের প্রবেশপত্র – ২সেট
  • পাসপোর্ট সাইজের ৪টি এবং স্ট্যাম্প সাইজ ৪টি পেছনে নাম লিখেত হবে।
  • এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি এর সনদপত্র /প্রসংসা পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি -২সেট।
  • এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি এর মূল নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি -২সেট।
  • এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি এর রেজিষ্ট্রশন কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি -২সেট।
  • এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি এর মূল কাগজ পত্র ।
  • টাকা জমার রশিদ।

উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো কলেজ ভেদে অালাদা অালাদা চাহিদা থাকতে পারে। তবে সকল কাগজপত্র ২ কপি করে ২সেট বানিয়ে দুইটি বড় খাকি খামের ওপর নাম, রোল,মোবাইল নম্বর লিখে জমা দিতে হতে পারে। উপরোক্ত সকল শিক্ষাগত যোগ্যাতার সনদপত্রের মূল কপিগুলো রঙ্গিন কপি স্কেন করে রাখতে পারলে ভালো তবে সেটা যদি সম্ভব না হয় অবশ্যই নিম্নপক্ষে ২কপি করে ফটোকপি করে নিজের কাছে রাখতে হবে।

বি:দ্র:- উপরোক্ত তথ্য উপাত্তগুলো ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন উৎস থেকে যতটা সম্ভব সঠিকভাবে উপস্থাপন ও আপডেট তথ্য প্রদান  করার চেষ্টা করা হয়েছে। তার পরেও নির্ধারিত কতৃপক্ষ কতৃর্ক বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন বা পরিমার্জন ও অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। যদি আপনার অতি জরুরী ও নিখুঁত তথ্যের খুবই প্রয়োজন হয় তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এর ওয়েবসাইট ভিজিট করতে ভুলবেন না। নিমোক্ত তথ্যগুলো গুলো শুধুমাত্র আপনার তথ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।
আমাদের সাথে যুক্ত হতে চাইলৈ : ফেসবুক পেইজ | | ফেসবুক গ্রুপ
উপরোক্ত তথ্য সম্পর্কিত কোন মতামত জানাতে চাইলে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন

0 মন্তব্য সমূহ:

0