এই মাত্র
লোডিং...
দেশের বাহিরে খুব সহজে চাকরি পাবেন যেভাবে

দেশের বাহিরে খুব সহজে চাকরি পাবেন যেভাবে

বর্তমান বিশ্ব এখন যতটা আধুনিক হয়েছে তার বিপরীত প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবকা নির্বাহের ক্ষেত্র। কেননা আগে যে কাজটি করতে একটি প্রতিষ্ঠানের যতগুলো জনবল নিয়োগ করা হত এখন সেই একই কাজে রোবটিক বা আধুনিক কর্মকৌশল এর ফলে অনেক কম সময়ে ও দ্রুততার সাথে, নিখুঁত পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য চাহিদার প্রেক্ষিতে সহজতর উপায়ে করা যাচ্ছে। যা একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী চাহিদার যে জটিল নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হতো তা থেকে অনেকটা রেহায় দিচ্ছে এমনকি কর্মী বা জনবলের বহুল খরচ তা অনেক হ্রাস পাচ্ছে।তাই প্রতিযোগীতামূলক বিশ্বে চাকরি পাওয়া আজ একটি শর্তের উপর  নির্ভর করে।

দেশের বাহিরে খুব সহজে চাকরি পাওয়ার উপায় ও তথ্যসমূহ

দেশের বাহিরে উন্নত রাষ্ট্রে চাকরি পাবেন যেভাবে

এখন শুধু সার্টিফিকেটের ভালো ফলাফলের নাম্বার হলেই চাকরির দেখা পাওয়া যায় না।দেশীয় চাকরির বাজার এখনও যতনা কঠিন বা জটিল হচ্ছে, তারচেয়ে অধিক বেশী জটিলতর দক্ষ প্রক্রিয়া পরখ করা যায় যদি আপনি চান দেশের বাহিরে বা উন্নত রাষ্ট্রের জীবন কাঠামোয় নিজের জীবকা নির্বাহের স্বাদ আস্বাদন করতে চান। আমাদের দেশের বাহিরে বিশেষত ইউরোপ আমেরিকা,অষ্ট্রেলিয়া,কানাডা,যুক্তরাজ্য এইসব উন্নত রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চাকুরির বাজার এখন অনেকটাই পরিবর্তন হচ্ছে । তারা কর্মী বান্ধব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী নিয়োগের দিকে লক্ষ্য করে।


আধুনিক বা ডিজিটাল ডিভাইসগুলো পরিচালনার মাধ্যমে যে তার প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে ভালো কৌশলী ব্যবস্থপনার দ্বার উম্মোচন করাতে পারবে সেই সব কর্মীদের প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দেয়। বিশেষত এখন মাঝে মাঝে দেখা যায় গুগল ফেসবুক লিংকডিন অ্যামাজনের মত বড় বড় বিশ্বব্যাপী চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী ছাটায়ের তোড়জোড় শুরু করে। তাহলে এ থেকে খুব সহজেই বুঝা যায়, বর্তমান বিশ্বে চাকুরির বাজারে কি ধরণের কর্মীর হ্রাস ও বৃদ্ধি ঘটছে। তাই আপনি যদি দেশের বাহিরে চাকুরি করতে ইচ্ছুক হন তাহলে আপনার থাকতে হবে বিশেষ পরিকল্পনা ও বিশেষ কিছু যোগ্যতা যা আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধিতে সহযোগীতা করবে। চলুন জেনে নেই বিদেশে চাকরি পাওয়ার সহজ উপায়।

বিদেশে চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় ও প্রক্রিয়াসমূহ

১. যে দেশে যাবেন, সে দেশের বা রাষ্ট্রের বিভিন্ন উৎস ও প্রফাইল নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিন।

২. সেই দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিজউ-পেপার, জবস-পোর্টাল বা সাইট, ম্যাগাজিন, টিভি-চ্যানেল, ও সম্পর্কিত সাইটের সাথে নিজের সম্পর্ক তৈরি করুন। সবসময় একটিভ রাখুন আপডেট খরব সংগ্রহে রাখতে।

৩. যে দেশে যেতে ইচ্ছুক সেই দেশের প্রেক্ষিতে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্ঠা করতে থাকুন।

৪. আপনার আত্বীয়-স্বজন বা বন্ধু বান্ধব থাকলে অথবা স্যোশাল কমিউনিটি থেকে ওই দেশের মানুষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করুন।

৫. আপনার যদি কোন পছন্দনীয় জবস সেক্টর থাকে তাহলে সেই জবস সেক্টরের বিশেষ কোন শর্থ থাকলে পূরণ করার চেষ্ঠা চালিয়ে যান।

৬. আপনার এডুকেশন ক্রেডিটেনসিয়াল প্রদর্শন করুন।

৭. নিজের অভিজ্ঞাগুলো কাজে লাগিয়ে আরো বেশি চমৎপদভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্ঠা করুন।

৮. ভাষাগত কোন সমস্যা থাকলে তা প্রথমেই সমাধান করার চেষ্টার করুন। বিশেষ করে যে দেশে যেতে ইচ্ছুক সেই দেশের মাতৃভাষা যদি আপনি আয়ত্ব আনতে পারেন তা সবচেয়ে ভালো। এবং অবশ্যই ইংরেজী সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দিতে হবে। এরপর আপনি যদি চান স্মার্ট বা এডভান্স লেভেলে যেতে পারেন যা আপনার চাকুরি সেক্টরে সবচেয়ে বেশী সহযোগীতা করবে।

৯. যে দেশে যেতে ইচ্ছুক সেই দেশের জনপ্রিয় জবস সাইটগুলো ব্রাউজ করুন।প্রয়োজন সেটিং কয়েকটি র‌্যাংকসহ তালিকা বা বুকমাকিং করে রাখতে পারেন।ঘন ঘন সেই সাইট হতে চাকরির আপডেট নেওয়ার চেষ্ঠা করুন।

১০. একটি প্রফেশনাল “জব-সিকার” নিজস্ব প্রফাইল তৈরি করুন। কোন সমস্যা হলে ওই সাইটের হ্লেপ বা কন্টাক্ট ম্যানুর মাধ্যমে তথ্য সংগহ্র করুন।পর্যাপ্ত তথ্য পেতে সমস্যা হলে গুগলে অথবা ইউটিউবে সার্চ করে তথ্য সংগ্রহ করুন। এছাড়াও তৃতীয় পক্ষ যে এই কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার সরণাপন্ন হতে পারেন।

১১. নিজের পছন্দ অনুযায়ী জবস সেক্টর টার্গেট করে আবেদন করুন। সে ক্ষেত্রে আপডেট ও প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো অবশ্যই পড়ে নিবেন। অনেকে জবস টপিক দেখতে অনাগ্রহ দেখায় যা সবচেয়ে বড় ভুল এই সব বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।

১২. চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্ঠা করুন। এছাড়াও কোম্পানির কালচার, কাজের কাঠামো, ডেলি লাইফ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করুন।

১৩. কোন চাকুরিদাতা  প্রতিষ্ঠান থেকে জবস ইন্টারভিউ অফার পেলে ইন্টারভিউ প্রেজেন্টশন কিভাবে করবেন, ডকুমেন্ট কিভাবে তৈরি করবেন, কোন পদ্ধতিতে জমা দিবেন, নিজস্ব প্রতিভাকে তুলে ধরবেন এবং প্রতিষ্ঠানে কোন ড্রেস কোড ও কোটেশন থাকলে পূর্বেই জেনে নিন।

১৪. অ্যাস্বাসি থেকে ভিসার শর্ত পূরণ করুন। যে দেশে যেতে ই্চ্ছুক সেই দেশের সংস্কৃতি, রীতিনীতি, আইন-কানুন,খাদ্য-দব্য,আবহাওয়া,জীবনযাপন,দৈন্দদিন খরচ সম্পর্কে অবগত হয়ে নিন।

১৫. নিজস্ব পদ্ধতি বা সৃজশনীল পদ্ধতি কাজে লাগানোর চেষ্ঠা করুন সকল ক্ষেত্রে । আপনি শুধুমাত্র মূল বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিবেন বা অনুসরণ করবেন মাত্র। কিন্তু পুরো বিষয়কে কোন ক্রমেই কপি করা যাবে না।

১৬. প্রয়োজনে নিজের বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়াতে চেষ্ঠা করুন। বই বা সম্পর্কিত ব্লগ এবং ইউটিউব ভিডিও গুলো থেকে পর্যান্ত তথ্য নিন। এর পর তথ্যগুলো সন্নিবেশিত করে সেইগুলোর মধ্যকার মেজর বিষয়গুলো পরখ করুন।

১৭. আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় রেখেই ভিসার জন্য আবেদন সেরে ফেলুন। এবং ভিসার সকল ডকুমেন্ট কমপক্ষে ৫সেপ ফটোকপি ও নোটারিযুক্ত কাজ সম্পন্ন করে রাখুন। এবং ডকুমেন্টশন কোন সমস্যা থাকলে তা পূর্ব হতে সমাধান করে রাখার চেষ্ঠা করুন।

১৮. প্রতিদিন ব্যবহার্য জিনিস ও গুরত্বপূর্ণ জিনিসগুলো পূর্ব থেকেই সংগ্রহ করে ফেলুন। এবং একটি তালিকা তৈরি করে আপনার লাগেজ সাজাতে শুরু করুন। এবং প্রতিদিন আপডেট করুন আপনার তালিকা।

১৯.  বিমান ফ্লাইটে যাওয়ার পূর্ব আপনার ভিসা,টিকিট,পার্সপোট ও অন্যান্য জুরুরী কাগজপত্রগুলো দুইটি পার্টস বা ফাইল আকারে সাজিয়ে রাখুন। যে কাজগপত্র গুলো ফ্লাইটের পূর্বেই প্রয়োজন হবে সেগুলো একটি অংশে রাখুন এবং অপর অংশগুলো পৌছানোর পর যেগুলো প্রয়োজন হবে সেভাবে আলাদ করে রাখুন।

২০. আপনি যদি প্রথমবারের মত বিমানের যাত্রী বা ভ্রমণকারী হয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশ বিমান, এয়ারলাইন্স, কাষ্টম, যে দেশে যেতে ইচ্ছুক সেই দেশের বিমান সংস্থা, এয়ালাইন্স সম্পর্কে আগে থেকেই একটি তথ্য নিয়ে রাখুন। সেজন্য আপনি গুগল ও ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেথতে পারেন।

 

আমাদের সাথে যুক্ত হতে চাইলৈ : ফেসবুক পেইজ | | ফেসবুক গ্রুপ
উপরোক্ত তথ্য সম্পর্কিত কোন মতামত জানাতে চাইলে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন

0 মন্তব্য সমূহ:

0