এই মাত্র
লোডিং...
সার্টিফিকেট মার্কশীট এডমিটকার্ড হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে করণীয়

সার্টিফিকেট মার্কশীট এডমিটকার্ড হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে করণীয়

অনেক সময় আমাদের শিক্ষা জীবনের মূল্যবান সম্পদ একাডেমিক সার্টিফিকেট,মার্কশীট,এডমিটকার্ডসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় শিক্ষা সংক্রান্ত কাগজপত্র  বিভিন্ন কারণে নষ্ট বা হারিয়ে যায়। শিক্ষাজীবনে প্রচুর সময়কে কাজে লাগিয়ে কষ্ট করে এই মূল্যবাদ কাগজ-পত্র আমাদের অর্জন করতে হই,যা পরবর্তীতে আমাদের  প্রফেশনাল জীবনে বা ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। বিশেষত  উচ্চশিক্ষাগ্রহণে, চাকুরির আবেদন করেত, বিদেশে লেখাপড়া বা স্থায়ী বসবাসের বা যাত্রাসহ বিভিন্ন  কারণে ‌উক্ত শিক্ষাজীবনের একাডেমিক কাগজ-পত্র  সার্টিফিকেট,মার্কশীট,এডমিটকার্ড ইত্যাদি দেখাতে বা সাবমিট করতে হয়। তাই কোন কারণে উক্ত একাডেমিক কাগজ-পত্র হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। কিভাবে এই কাগজ-পত্রগুলো আবার ফিরে পেতে বা সংগ্রহ করতে পারি ? 

সার্টিফিকেট,মার্কশীট,এডমিটকার্ডসহ একাডেমিক কাগজপত্র হারিয়ে বা নষ্ট হলে করণীয়

সার্টিফিকেট,মার্কশীট,এডমিটকার্ডসহ একাডেমিক কাগজপত্র হারিয়ে বা নষ্ট হলে কি করবেন?

কোন কারণে আপনার শিক্ষা সংক্রান্ত উপরে উল্লেখিত শিক্ষা জীবনের মূল্যবান সম্পদ একাডেমিক সার্টিফিকেট,মার্কশীট,এডমিটকার্ডসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট বা হারিয়ে যায় তাহলে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। মনে রাখতে হবে মানুষের জীবনে স্বাভাবিক ঘটনা এগুলো। একবার হারিয়ে ফেলেছেন বা নষ্ট করেছেন বলে আর সংগ্রহ করা যাবে না এটা ভুল ধারণা তবে এটা সত্য যে এত এগুলো সংগ্রহ করতে আপনাকে বাড়তি কিছু পরিশ্রম করতে হবে। কাগজপত্রগুলো আপনার মূল্যবাদ সম্পদ তাই সর্বসময় সঠিক জায়গায় যন্ত সহকারে রাখা উচিত ।  আপনার পরিচিত জায়গায় বা বাসা বাড়ির মধ্যে হারিয়ে থাকলে প্রথমে আপনি ঠান্ডা মাথায় স্থীর হয়ে সাময়িক খোঁজা-খুঁজি শুরু করুন। আর যদি বাহিরে বা অচেনা জায়গায় হারিয়ে ফেলেন বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আর দেরী না করে নিম্নোক্ত তালিকার ব্যবস্থাগুলো জরুরী ভিত্তিতে গ্রহণ করুন।

হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া কাগজপত্র সংগহ করেত  দ্রুত যে ব্যবস্থাগুলো পর্যায়ক্রমে নিতে হবে

  • প্রথমে আপনার এলাকার নিকটবর্তী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন।
  • হারিয়ে যাওয়া / নষ্ট হওয়া কাগজ-পত্রের কোন বাড়তি ফটোকপি থাকলে সঙ্গে সাথে নিয়ে যাবেন।
  • আপনার কাগজ-পত্রের নম্বরপত্রসহ যাবতীয় যা তথ্যাদি থানা অফিসার জানতে চাইবে তা সঠিকভাবে প্রদান করার চেষ্ঠা করুন।
  • থানায় জিডি করে একটি জিডির কপি অবশ্যই নিজের সঙ্গে রাখতে হবে।
  • এরপর বাংলা যে কোন পরিচিত দৈনিক পত্রিকায় “হারিয়েছে” কলামে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
  • উক্ত বিজ্ঞপ্তির নাম,শাখা,পরীক্ষার কেন্দ্র,রোল-নম্বর,পাসের সাল,বোর্ডের নাম এবং কিভাবে হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে নির্ধারিত শিক্ষা বোর্ডে অফিস কার্যালয়ে যেতে হবে। উদাহরণ স্বরুপ : আপনি যদি ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অর্ধীনে হয়ে থাকেন তাহলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে কার্যালয়ে যেতে হবে।
  • পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর  শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার সময় আপনার উপরোক্ত থানার জিডি ও বিজ্ঞপ্তির কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে ।
  • শিক্ষা বোর্ডের “তথ্য সংগ্রহ” কেন্দ্র বা অফিস থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহের পর নির্ভূল বা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
  • উক্ত ফরম পূরণের পর যে কোন সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যৃমে বোর্ডের সচিব বরবার নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। ফি জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকার করা হবে। 
  • উক্ত আবেদন পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে ব্যাংক ড্রাফটের মূলকপি,পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি কাটিং ও থানার জিডির কপি।

যেভাবে আপনি আবেদনপত্র পূরণ করবেন

আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক) কোন ক্যাটাগরির কি কাগজ হারিয়েছেন ? এবং কিভাবে হারিয়েছেন ও কী কারণে আবেদন করছেন।আবেদনপত্রের বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট অক্ষরে পূর্ণ আবেদন-প্রার্থীর নাম,পিতার-নাম,মাতার-নাম,জন্ম-তারিখ,শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের নাম, হারিয়ে যাওয়া কাগজের রোল নম্বর,রেজিষ্ট্রেশন নম্বর,পাসের সন, বিভাগ/জিপিএ,শাখা,শিক্ষাবর্ষসহ আরোও  বিভিন্ন প্রয়োজনী তথ্য প্রদান করতে হবে।পরবর্তী অংশে দিতে হবে জাতীয়তা,বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দৈনিক পত্রিকার নাম, প্রকাশের তারিখ, সোনালী ব্যাংকের শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে। আবেদপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের জন্য ওনার স্বাক্ষর ও নামসহ সিলমোহর প্রয়োজন হবে। আর প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রে অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।

উক্ত কার্যক্রমে যা যা  ব্যতীক্রম পদ্ধতি রয়েছে  

নষ্ট হয়ে যাওয়া সার্টফিকেট,মার্কশীট,নম্বরপত্র,একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ এর জন্য আপনাকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করার কোন প্রয়োজন নেই।তবে থানায় জিডি করে রাখাটা উত্তম। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সংগে উক্ত অংশবিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে সনদপত্র বা নম্বরপত্রের অংশবিশেষের নাম,পরীক্ষার্থীর নাম,পিতার-নাম,মাতার-নাম, রোল-নম্বর,রেজিষ্ট্রেশন-নম্বর,পরীক্ষার-কেন্দ্র,পাসের সন ও বিভাগ,জিপিএ,জন্মতারিখ আরোও প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না। 

বিদেশি কোন নাগরিকের জন্য ব্যাংক ড্রাফটসহ উল্লেখিত কাজের জন্য নিজ দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।উক্ত কাজের জন্য নির্ধারি ফি বাবদ আনুমানিক (জুরুরি ফি বাবদ) ১৩০ টাকা।এছাড়া ত্রি-নকলের জন্য ১৫০টাকা এবং চৌ নকলের জন্য ২৫০টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।”নির্ধারিত-ফি” তথ্যটি আনুমানিকভাবে প্রদান করা হয়েছে এর জন্য টাকার পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।অতএব নির্ধারিত তথ্যে জন্য শিক্ষা-বোর্ডের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

বি:দ্র:- উপরোক্ত তথ্য উপাত্তগুলো ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন উৎস থেকে যতটা সম্ভব সঠিকভাবে উপস্থাপন ও আপডেট তথ্য প্রদান  করার চেষ্টা করা হয়েছে। তার পরেও নির্ধারিত কতৃপক্ষ কতৃর্ক বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন বা পরিমার্জন ও অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। যদি আপনার অতি জরুরী ও নিখুঁত তথ্যের খুবই প্রয়োজন হয় তাহলে নির্ধারিত ওয়েবসাইট ভিজিট করতে ভুলবেন না। নিমোক্ত তথ্যগুলো গুলো শুধুমাত্র আপনার তথ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।

আমাদের সাথে যুক্ত হতে চাইলৈ : ফেসবুক পেইজ | | ফেসবুক গ্রুপ

উপরোক্ত তথ্য সম্পর্কিত কোন মতামত জানাতে চাইলে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন

0 মন্তব্য সমূহ:

0