সারাদেশে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য সোনালী ব্যাংক শিক্ষবৃত্তি ২০১৮
সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে দেশের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী,অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার মেধাবী পুত্র-কন্যা/তদীয় পুত্র-কন্যার এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের নিমিত্তে নিম্নোক্ত শর্তে অনলাইনে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন আহবান করা যাচ্ছে।
শিক্ষাবৃত্তি ২০১৮ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয়,ঢাকা
শিক্ষাবৃত্তি আবেদনের যোগ্যতাসমূহ
১। ক) ২০১৭ সালে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত এবং
খ) ২০১৭ সালে এইচ.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমান স্নাতক বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
২। ক) এইচএসসি/সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থী/মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা/তদীয় পুত্র-কন্যাদের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ প্রাপ্ত হতে হবে।
খ) স্নাতক বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থী/মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা/তদীয় পুত্র-কন্যাদের ক্ষেত্রে এইচ.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ প্রাপ্ত হতে হবে।
৩। শুধুমাত্র দরিদ্র শিক্ষার্থী/প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী/অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা/তদীয় পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা (যাদের পিতা/অভিভাবকের মাসিক আয় সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকার বেশী নয়) আবেদন করতে পারবেন। স্বচ্ছল ব্যক্তির সন্তানদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
শিক্ষাবৃত্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূণ্য তথ্য
১। বৃত্তির পরিমাণ এককালীন ১০,০০০ টাকা মাত্র।
২। আগ্রহী প্রার্থীদেরকে আগামী ০২/১২/২০১৮ হতে ২৩/১২/২০১৮ তারিখের মধ্যে অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
৩।আগ্রহী প্রার্থীদেরকে অনলাইনে আবেদনের জন্য সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত ওয়েবসাইট লিংকের মাধ্যমে ভিজিট করে, একটি খালি “অনলাইন এ্যাপ্লিকেশন ফরম” পূরণ স্বাপেক্ষে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন জমা দিতে হবে।
৪। প্রাথমিকভাবে মনোনীত আবেদনকারীরদের তালিকা যথাসময়ে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর ওয়েবসাইটে মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
৭। প্রাথমিকভাবে মনোনীত আবেদনকারীদের নিম্নবর্ণিত কাগজপত্রাদি সরবরাহ করতে হবে :
ক) প্রাথমিক বাছাইয়ে মনোনীত আবেদনকারী কর্তৃক প্রিন্টকৃত “অনলাইন এ্যাপ্লিকেশন ফরম”।
খ) উক্ত ফরমটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান/বিভাগীয় প্রাধানের স্বাক্ষর ও সীলমোহরযুক্ত সুপারিশসহ থাকতে হবে।
গ) বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাধন/বিভাগীয় প্রাধান কর্তৃক প্রদত্ত অধ্যয়ন সনদ।
ঘ) একাডেমিক ট্রান্সক্রীপ্ট/সনদ এর সত্যায়িত কপি।
ঙ) বাংলাদেশি নাগরিকত্ত্ব সনদপত্র।
চ) ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন হতে শিক্ষার্থীর অভিভাবেকর মাসিক আয় সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।
(অভিভাবকের পেশা এবং মাসিক আয় উল্লেখ থাকতে হবে)
ছ) মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যাদের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও মুক্তিযোদ্দার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যাদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণক হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রার্থীর সঙ্গে সম্পর্ক সংক্রান্ত সনদ
জ) প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তর/জেলা সমাজসেবা কার্যালয়/উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবন্ধী সনদ।
৫। অসম্পূর্ণ আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
৬। বৃত্তি মনোনয়নে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
0 মন্তব্য সমূহ: